১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি : পর্বসংখ্যা-৪০, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

দ্বিতীয় অধ্যায় : ইবাদত
-

প্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ‘দ্বিতীয় অধ্যায় : ইবাদত’ থেকে আরো ২টি বর্ণনামূলক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রশ্ন : ইবাদতের তাৎপর্য বর্ণনা করো।
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁরই ইবাদতের জন্য। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর আমি জিন ও মানব জাতিকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি’ (সূরা জারিয়াত, আয়াত-৫৬)।
ইবাদত শুধু সালাত, সাওম ইত্যাদির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য রাসূল সা:-এর দেখানো পথে যেকোনো ভালো কাজই ইবাদতের মধ্যে শামিল। ভালো কাজের উৎসাহ দেয়াও ইবাদত। রাসূল সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের পরামর্শ দেয়, সে ব্যক্তিও কাজটি সম্পাদনকারীর সমান পুরস্কার পাবে’ (মুসলিম)।
সর্বাবস্থায় আমাদের ইবাদতে মশগুল থাকা কর্তব্য। পড়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে পড়া শুরু করলে যতক্ষণ লেখাপড়া করব, ততক্ষণই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হবে। বিসমিল্লাহ বলে স্কুলে যাত্রা শুরু করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের রাস্তার বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন। সৎ পথে ব্যবসায়-বাণিজ্য করা, চাষাবাদ এবং অন্য কোনো সৎ পেশায় নিয়োজিত হয়ে যথাযথ কর্তব্য পালন করাও ইবাদতের শামিল। এমনকি ঘুমানোর আগে পাক পবিত্র হয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে ঘুমালে নিদ্রার সময়টুকুও আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে গণ্য হবে। এভাবে আমরা সর্বক্ষণই আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতে পারি। ইবাদতে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। এতে দুনিয়ার জীবন সুখের হয়। পরকালে শান্তিময় স্থান জান্নাত লাভ করা যায়।
প্রশ্ন : সালাতের ওয়াজিবগুলো কী কী?
উত্তর : ওয়াজিব মানে অবশ্য করণীয়। গুরুত্বের দিক দিয়ে ফরজের পরই ওয়াজিবের স্থান। সালাতের মধ্যে কতগুলো ওয়াজিব কাজ আছে। এর যেকোনো একটিও ইচ্ছা করে বাদ দিলে সালাত আদায় হয় না। ভুলে বাদ পড়লে সাহু সেজদা দিতে হয়। সালাতের ওয়াজিব ১৪টি। যথা-
১. প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া।
২. সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা বা কুরআনের কিছু অংশ পড়া।
৩. সালাতের ফরজ ও ওয়াজিবগুলো আদায় করার সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
৪. রুকু করার পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৫. দুই সেজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।
৬. তিন বা চার রাকাতবিশিষ্ট সালাতে দ্বিতীয় রাকাতের পর তাশাহুদ পড়ার জন্য বসা।
৭. সালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়া।
৮. মাগরিব ও এশার ফরজের প্রথম দুই রাকাতে এবং ফজর ও জুমার ফরজ সালাতে এবং দুই ঈদের সালাতে ইমামের সরবে কুরআন পাঠ করা এবং অন্যান্য সালাতে নীরবে পাঠ করা।
৯. বিতর সালাতে দোয়া কুনুত পড়া।
১০. দুই ঈদের সালাতে অতিরিক্ত ছয় তাকবির বলা।
১১. রুকু ও সেজদায় কমপক্ষে এক তসবি পরিমাণ অবস্থান করা।
১২. সালাতে সেজদার আয়াত পাঠ করলে তেলাওয়াতে সেজদা করা। কুরআন মজিদে এমন বিশেষ ১৪টি আয়াত আছে যা পাঠ করলে বা শুনলে সেজদা করতে হবে।
১৩. আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ বলে সালাত শেষ করা।
১৪. ভুলে কোনো ওয়াজিব কাজ বাদ পড়লে সাহু সেজদা দেয়া।


আরো সংবাদ



premium cement